”গ্রাম্য বাড়ি”
রাশেদুল ইসলাম
নহে ইট নহে বালু
বাশ দিয়ে তৈরী,
দামের ঘরের সিমেন্ট
গ্রাম্য বাড়ির বৈরি।
খড়ের দ্বারা ছাউনি তার
বাশের তৈরি বেড়া,
পালক ফুলের ডাটা দিয়ে
চতুর্দিক তার ঘেরা।
বাধিতে লাগেনা শিসা
পাটের রশ্মিই অনেক,
একটু দেখায় মন জুড়াবে
দেখিস যদি খনেক।
ঘরের ভিতর ঘরের বাস
বিধাতার কিযে লীলা,
ঘরের দন্ডে বাবুই পাখির
বাস করিবার ভিলা।
খুটির পর খুটির সারি
মাথায় লয়েছে ভার,
কতো যে সুন্দর তা
দুখনা তার ধার।
জংলা গাছে নকশা আকায়
কাঠের ফ্রেমে দোর,
ঘুমের ঘোরে থাকিলেও মত্ত
টের পাবি রে ভোর।
দখিনা বাতাস আসার লাগি
বাশ জানালা এখান,
হিমেল হাওয়ায় মন জুড়াবে
খুলিস যদি সেখান।
হাজার ফুলে নকশা নিয়ে
ছিকেতা ঝুলে হাড়ি,
তাহার রুপে রুপবতি হয়
বাংলা গ্রামের বাড়ি।
রান্নার উনুন উঠানের শোভা
এটেল তার দেহ,
আধার রাতে সৌন্দর্য বাড়াতে
ব্যাস্ত সদাই সেও।
উঠান ঘেঁষে লাউয়ের মাচাঙ
লাউয়ের সারি সারি,
এক পলকে হবে মনে
ঝুলন্ত মিষ্টি দইয়ের হাড়ি।
ফুলের গন্ধে মন ভরিবে
পূবেল হাওয়ার পরে,
গন্ধরাজের গন্ধ পাবি
খড়ের তৈরি ঘরে।
রাত্রি বেলায় এক ফালি চাদ
দেখবি সুয়ে সুয়ে,
চাদের মায়ায় মুগ্ধ হয়ে
ধ্বংস দুঃখ বেদনা দুয়ে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।